পরকীয়া মামলায় আদালতে আত্মসমর্পণ বিজেপি বিধায়িকার

2nd September 2021 2:36 pm বাঁকুড়া
পরকীয়া মামলায় আদালতে আত্মসমর্পণ বিজেপি বিধায়িকার


দেবব্রত মন্ডল ( বাঁকুড়া ) : পরকীয়া মামলায় আত্মসমর্পণ চন্দনা বাউরির! সরাসরি আদালতে গিয়ে আত্মসমর্পণ করলেন বিজেপি বিধায়িকা!

পরকীয়া প্রেমের মামলায় ফের শিরোনামে বিজেপি বিধায়িকা চন্দনা বাউরি। এবার আদালতে গিয়ে সরাসরি আত্মসমর্পণ করলেন বাঁকুড়া জেলার শালতোড়ার বিজেপি বিধায়িকা। কি অভিযোগ রয়েছে প্রত্যন্ত এই বিধায়কের বিরুদ্ধে? কোন কোন ধারায় মামলা রুজু হয়েছে বিধায়িকার বিরুদ্ধে? জানা গেছে, আজ সকালেই বাঁকুড়া জেলা আদালতে গিয়ে আত্মসমর্পণ করেন চন্দনা বাউরী। উল্লেখ্য, গত ১৯ আগষ্ট বাঁকুড়ার গঙ্গাজলঘাটি থানায় বিধায়ক চন্দনা বাউরীর বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ জানান তাঁর গাড়ির চালক কৃষ্ণ কুন্ডুর স্ত্রী রূম্পা কুন্ডু। লিখিত অভিযোগে তিনি জানান চন্দনা বাউরী কৃষ্ণ কুন্ডুর সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক স্থাপন করে গোপনে বিয়ে করেছে। এছাড়াও বিধায়ক চন্দনা বাউরী ও নিজের স্বামীর বিরুদ্ধে হুমকি সহ একাধিক অভিযোগ আনেন রূম্পা কুন্ডু। সেই লিখিত অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ বিধায়ক চন্দনা বাউরী ও কৃষ্ণ কুন্ডুর বিরুদ্ধে ভারতীয় দন্ডবিধির ৪৯৮ এ ধারায় বধূ নির্যাতন, ৪৯৪ ধারায় বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্ক,  ৪০৬ নম্বর ধারায় বিস্বাসভঙ্গ ও ৫০৬ নম্বর ধারায় হুমকি দেওয়ার মামলা রুজু করে। সেই মামলার ভিত্তিতেই আজ বাঁকুড়া জেলা আদালতে বিধায়ক চন্দনা বাউরী আত্মসমর্পণ করেন, এমনটাই জানালেন সরকারি উকিল লোকেশ মুখার্জি। এদিকে এইসব অভিযোগ অস্বীকার করে বিজেপি। 





Others News

মল্লরাজ ভূমিতে তোপধ্বনিতে অষ্টমীর সন্ধিক্ষণ : পুজো ঘিরে উন্মাদনা

মল্লরাজ ভূমিতে তোপধ্বনিতে অষ্টমীর সন্ধিক্ষণ : পুজো ঘিরে উন্মাদনা


দেবব্রত মন্ডল ( বাঁকুড়া ) : তোপধ্বনি তে কেঁপে উঠল বিষ্ণুপুর । শুরু হল মল্ল রাজাদের ১০২৫ বছরের অষ্টমী পূজোর সন্ধিক্ষণ।

প্রাচীণ ঐতিহ্য ও পরম্পরা মেনে আজও নিষ্ঠাভরে বিষ্ণুপুর রাজ বাড়িতে দেবী দুর্গা 'মৃন্ময়ী নামে পূজিতা হন। জানা গিয়েছে, পূর্ব প্রথা মতোই প্রাচীণ রীতি মেনে মহাষ্টমীর সন্ধিক্ষণে কামান দাগার মধ্য দিয়ে বিষ্ণুপুর রাজ বাড়িতে শুরু হয়ে গেল 'বড় ঠাকরুনে'র পুজো। তবে এবার করোনা পরিস্থিতির মধ্যেও দর্শক সাধারণের উপস্থিতি ছিল বাঁধভাঙ্গা। সরকারী নিয়মকে মান্যতা দিয়ে স্বাস্থ্যবিধি মেনে শুরু হয়েছে দেবী বন্দনা। এমনকি এখানে কামান দাগার পর্বেও অন্যান্য বছরের তুলনায় এ বছরে অল্প সংখ্যক লোককে নিয়ে ঐ কাজ সম্পূর্ণ করা হয়েছে।

শুরুর সময় থেকে অষ্টমীর সন্ধিক্ষণ ঘোষণা করা হয় বড় কামানের গর্জনের শব্দে। যার আওয়াজে রাজবাড়িতে আরতি নৃত্যও শুরু হয়ে যায়।